
দুই বুড়ি: তেতান বুড়ি আর বোকা বুড়ি
A free resource from
KidsOut - the fun and happiness charity
This story is available in:
This story is available in:
তেতান বুড়ি... আহা! বোকা বুড়ি... হুমম্
তেতান বুড়ি... আহা! বোকা বুড়ি... হুমম্
তেতান বুড়ি... আহা! বোকা বুড়ি... হুমম্
একদা এক জায়গায় দুই বোন ছিল: তেতান বুড়ি, চালাক বোন... আহা! আর বোকা বুড়ি, বোকা বোন... হুমম্
তেতান বুড়ি আর বোকা বুড়ি তিনটে জিনিস ভাগাভাগি করে নিতো। ওরা একটা কম্বল ভাগ করে নিতো। ওরা একটা গরু ভাগ করে নিতো। ওরা একটা আমগাছ ভাগ করে নিতো।
‘আহা, বোন। আমি রাতেরবেলা কম্বলটা নেবো, আর তুই দিনেরবেলা কম্বলটা নিবি... আহা!’
‘হুমম্ খুব ভালো বোনটি।’
বোকা বুড়ি শুধু দিনেরবেলাতেই কম্বলটা পেতো যখন মাথার ওপর রদ গনগন্করতো। কিন্তু রাতেরবেলায় যখন ঠাণ্ডা পড়তো, তখন তাকে কম্বলটা তার চালাক বোনকে দিতে হতো।
‘আহা! আমি গরুর পেছনের দিকটা নেবো আর তুই গরুর সামনের দিকটা নিবি... আহা!’
‘হুমম্ খুব ভালো বোনটি।’
আর বোকা বুড়ি, বোকা বোনকে গরুটাকে খাওয়াতে-ধোয়াতে হতো; আর চালাক বোন সেইসময় গরুর দুধ দুয়ে নিতো আর তা থেকে দই আর মাখন বানাতো।
বোকা বুড়ির খিদে পেয়েছিল।
‘আমগাছ!’ আমি আমগাছের ওপরের আদ্ধেকটা নেবো আর তুই নিবি আমগাছের নীচের আদ্ধেকটা... আহা!’
‘হুমম্ খুব ভালো বোনটি।’
বোকা বুড়ি আমগাছে জল দিত আর গোড়ার আগাছা নিড়োতো। তেতান বুড়ি এলো আর সুস্বাদু, পাকা ফলগুলো পেড়ে নিলো আর সেগুলোর সবকটাই নিজের জন্যে রেখে দিলো।
বোকা বুড়ির রাত্তিরে শীত করছিল আর ভীষণ খিদে পেয়েছিল।
সে গ্রামে গিয়ে সেখানে এক নাপিতানির কাছে গেলো।
নাপিতানি তার চুল কাটতে কাটতে বোকা বুড়ির কষ্টের কথা শুনলো: ‘বোকা মেয়ে। তোমাকে যেটা করতেই হবে সেটা হলো... তুমি তোমার বোনের কাছে ফিরে গিয়ে ওকে রাত্তিরে কম্বলটা দেবে, কিন্তু নদীতে চুবিয়ে এনে। গরুর জন্যে... গরুটাকে খাইও না, শুধু গরুটার সামনে গিয়ে চেঁচাও। আর গাছটার জন্যে... ওটাকে আদ্ধেক করে কেটে ফেলো।’
‘খুব ভালো।’
বোকা বুড়ি বোনের কাছে ফিরে গেল। সে ওকে কম্বলটা দিলো, কিন্তু সেটাকে নদীতে চুবিয়ে এনে।
তেতান বুড়ি কম্বলটা নিলো... ‘আহা... উহুহুহুহু।’
ওটা খুবই ঠাণ্ডা ছিল। সে ভিজে কম্বল গায়ে দিয়ে সারারাত কাঁপতে থাকলো।
পরেরদিন সে গরুর দুধ দুইতে গেল। কিন্তু বোকা বুড়ি গরুটাকে খাওয়ায়নি। বোকা বুড়ি শুধু গরুটার সামনে গিয়ে চেঁচিয়েছে। আর যখন সে গরুর দুধ দুইতে গেলো, গরুটা শুধু তেতান বুড়িকে লাথি মারল... ‘উহুহুহুহু!!’
এবারে তেতান বুড়ি গাছ থেকে আম পাড়তে গেল। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে দেখলো যে বোকা বুড়ি একটা কুড়ুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে গাছটাকে আদ্ধেক করে কাটবে বলে।
‘কী করছিস, বোন?’
‘ও,’ বোকা বুড়ি বললো, ‘আমি গাছটাকে আদ্ধেক করে কেটে ফেলবো। আমি আমার আদ্ধেকটা তোর আদ্ধেকটার থেকে কেটে নেবো।’
তার বোন বললো ‘না।’ ‘তোকে থামানোর জন্যে আমাকে কী করতে হবে?’
‘হুমম, নাপিতানির সঙ্গে কথা বল গিয়ে।’
তেতান বুড়ি নাপিতানির কাছে গেল। নাপিতানির কোন সহানুভূতি হল না: ‘আমি তোমাকে কোন সাহায্য করবো না। কিন্তু তুমি পাড়ার অন্য সবাইকে জিগ্যেস করো না কেন।’
দোকানের দোর খুলতেই পাড়ার সব লোক সেখানে গাদাগাদি করে ঢুকে পড়লো।
তারা তেতান বুড়ির দুঃখের কথা শুনলো: কেমন করে সারারাত ভিজে কম্বল গায়ে দিয়ে তার ঠাণ্ডা লেগেছে; কেমন করে গরুটা তাকে শুধুই লাথি মেরেছে আর দই-মাখন বানানোর জন্যে দুধ দেয়নি; কেমন করে তার বোন গাছটাকে আদ্ধেক করে কেটে ফেলতে যাচ্ছিল।
‘তোমাকে যেটা করতে হবে,’ তারা বললো, ‘সেটা হলো কাজ ভাগ করে নেওয়া।’ কম্বল ভাগাভাগি করে গায়ে দাও। তোমার বোনের পাশে শুয়ে ঘুমোও। তোমরা নিজেরাই নিজেদের উত্তাপ দেবে... জড়াজড়ি আর গরম।’
‘কম্বল ভাগাভাগি করে গায়ে দেবো?’
‘আর গরুকে খাওয়ানো-ধোয়ানোর কাজ আর দুধ দোয়ার কাজও ভাগাভাগি করে নাও, আর একসঙ্গে মন্থন করে মাখন আর দই বানাও।’
‘একসঙ্গে কাজ করবো?’
‘আর’, পাড়ার লোকেরা বললো, ‘তোমাকে যেটা করতেই হবে তেতান বুড়ি, সেটা হলো গাছটার দেখাশুনো করা। তোমার বোনের সঙ্গে মিলে গাছটার পরিচর্যা করো। গোড়ার আগাছা নিড়োও আর গাছে জল দাও আর একসাথে অজস্র ফলগুলোকে ভাগাভাগি করে খাও।’
‘আহা।’
আর তারপর থেকে তেতান বুড়ি আর বোকা বুড়ি রাতে কম্বল ভাগাভাগি করে পরস্পরকে উত্তাপ দিতে থাকলো; দুধ নিয়ে ভাগাভাগি করে মাখন আর দই বানালো; আর সুস্বাদু আমগুলো ভাগাভাগি করে খেল। আর ওদের এত ছিল যে ওরা পাড়ার লোকেদের সঙ্গেও ভাগাভাগি করে নিলো।
তেতান বুড়ি... আহা! আর বোকা বুড়ি, অতটাও বোকা বোন না... হুমম্ ।
Enjoyed this story?